Bangladeshi Food Recipes। বাংলাদেশী খাবারের রেসিপি

Hot

Salad


বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪

সজনে ডাটার রেসিপি | Drumstick Recipe

জুন ১৩, ২০২৪ 0

আজ আমি সজনে ডাটা ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করব। অতি সহজে এবং খুব তাড়াতাড়ি আমি এই রান্না করে শেষ করব।

সজনে ডাটা রান্না করতে কি কি উপকরণ লাগবে?



উপকরণ:

1. সজনে ডাটা

2. ইলিশ মাছ

3. আলু

4. কালো জিরে

5. শুকনো মরিচ

6. সরষে তেল

7. কাচা মরিচ

8. লবণ

9. হলুদ পাউডার

10. ধনিয়া পাতা

এই উপকরণ দিয়ে সজনে ডাটা রান্না কিভাবে তৈরি করব?

প্রথমে কড়াই গরম করে তাতে সরষে তেল দিন। তেল গরম হলে কালো জিরে এবং শুকনো লঙ্কা ফোরন দিন।

তারপর আলু লম্বা লম্বা করে কেটে ধুয়ে দিন। আলু একটু ভাজা হলে, কেটে রাখা সজনে ডাটা দিন।

এগুলি সব একটু ভাজা হলে, কাচা মরিচ কেটে দিয়ে দিন। এরপর হলুদ পাউডার আর আন্দাজ মতো লবণ দিন। এই সব উপকরণ ভালো করে কষান। ভালো করে কষিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিন। পানি দেওয়ার পর ১০ থেকে ১২ মিনিট ঢেকে রেখে রান্না করুন।

তারপর আগে থেকে ভেজে রাখা ইলিশ মাছ ঝোলের মধ্যে ছেড়ে দিন। এবার ৩-৪ মিনিট আরও রান্না করুন। ধনিয়া পাতা ছোট ছোট করে কেটে উপরে দিয়ে দিন। এইবার সজনে ডাটা ইলিশ মাছ দিয়ে তরকারী তৈরি হয়ে গেল।

পরিবেশন

এবারে এই তরকারি ভাত বা রুটির সাথে পেট ভরে উপভোগ করুন। খুব তাড়াতাড়ি আমার এই রান্না শেষ হয়ে গেল। আমি গরম গরম ভাতের সাথে খেয়েছি, খুব ভালো লেগেছে। 

একবার বানিয়ে খেয়ে দেখুন এবং আমাকে একটি কমেন্ট করে জানাবেন খেতে কেমন হয়েছে। যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করুন।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবার আসছি নতুন রেসিপি নিয়ে। ধন্যবাদ!



Read More

শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪

আলুর দম রেসিপি । Alur Dom Recipe

মে ২৫, ২০২৪ 0

আলুর দম রেসিপি



উপকরণ:

- ছোট আলু: ৩০০ গ্রাম

- টমেটো কুচি: ২টি

- বড় পেঁয়াজ কুচি: ১টি

- পেঁয়াজ বাটা: ১ টেবিল চামচ

- আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ

- রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ

- চিনি: সামান্য

- মরিচ গুঁড়া: ১ চা চামচ

- হলুদ গুঁড়া: ১ চা চামচ

- ধনে গুঁড়া: ১ চা চামচ

- জিরা গুঁড়া: ১ চা চামচ

- টক দই: ২ টেবিল চামচ

- গোল মরিচ গুঁড়া: আধা চা চামচ (টেলে গুঁড়া করা)

- গোটা জিরা গুঁড়া: আধা চা চামচ (টেলে গুঁড়া করা)

- তেজপাতা: ২টি

- এলাচ: ২টি

- লবঙ্গ: ৪টি

- দারুচিনি: ২ টুকরা

- লবণ: স্বাদ অনুযায়ী

- তেল: পরিমাণ মতো

- ধনেপাতা কুচি: পরিমাণ মতো


পদ্ধতি:

১. **আলু ভাজা**: সামান্য লবণ দিয়ে আলুগুলো সিদ্ধ করে ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে অল্প তেলে বাদামি করে ভেজে নিন।

   

২. **মশলা ভাজা**: ওই একই প্যানে প্রয়োজনমতো তেল গরম করে গোটা মসলা (তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি) ফোঁড়ন দিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি রং না আসা পর্যন্ত ভাজুন। 


৩. **মশলা মিশ্রণ**: পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা দিন এবং ভালোভাবে মেশান। এরপর মরিচ, হলুদ, ধনে ও জিরা গুঁড়া দিয়ে সামান্য পানি যোগ করুন। তেল ছেড়ে আসা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।


৪. **টক দই ও টমেটো যোগ**: এবার টক দই, টমেটো কুচি এবং লবণ দিন। টমেটো মজে যাওয়া পর্যন্ত কষতে থাকুন।


৫. **আলু ও পানি যোগ**: ভাজা আলুগুলো যোগ করে ভালোভাবে কষান যাতে আলুগুলো মসলার স্বাদ শুষে নেয়। তারপর সামান্য পানি দিয়ে ফুটতে দিন।


৬. **ঝোল কমানো**: পছন্দ অনুযায়ী ঝোল শুকিয়ে নিন। 


৭. **শেষে**: চুলার আঁচ কমিয়ে সামান্য চিনি দিয়ে টেলে নেওয়া গোল মরিচ ও জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। শেষে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।


আলুর দম এখন প্রস্তুত। লুচির সঙ্গে পরিবেশন করুন।



Read More

শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪

চিলাকুইলস রেসিপি । Chilaquiles Master Recipe

মে ২৪, ২০২৪ 0

সহজ কথায়, চিলাকুইলস হল আমার (এবং অনেকের) আরামদায়ক খাবার।



এগুলি চিপস এবং সালসার একটি এন্ট্রি সংস্করণের মতো, যার অনন্য ও সন্তোষজনক টেক্সচার রয়েছে। এটি সেরা পাস্তা ডিশ বা দুর্দান্ত ভাজা ভাতের মতো তৃপ্তিদায়ক, অথবা চাইনিজ চৌ মেন বা একটি ভাল পোলেন্টার মতো। চিলাকুইলস সম্পর্কে বিশেষ বিষয় হল: যখন সস-লেপিত ভাজা টর্টিলার টুকরোগুলি এখনও খসখসে থাকে (যা আসলে "চিপস এবং উষ্ণ সালসা" সংস্করণ, মেক্সিকোর অনেক কফি শপে জনপ্রিয়) তখন আপনি রান্না বন্ধ করতে পারেন বা সেগুলিকে যথেষ্ট দীর্ঘ রান্না করতে পারেন যাতে টর্টিলাগুলি সসের সাথে মিশে যায় এবং একটি ক্রিমি, সুস্বাদু ভরে পরিণত হয় যা মেক্সিকো সিটির রাস্তার বিক্রেতা টর্টাসে জনপ্রিয়।

আমি মাঝামাঝি কোথাও চিলাকুইলস পছন্দ করি। চিলাকুইলস প্রায় যে কোনও সস দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে, তবে সবচেয়ে সাধারণ হল টমাটিলো (চিলাকুইলস ভার্দেস) বা টমেটো (চিলাকুইলস রোজোস)। (ওক্সাকাতে, চিলাকুইলসের জন্য টমেটো সস সাধারণ সবুজ চিলির পরিবর্তে ধোঁয়াটে শুকনো চিলি প্যাসিলা ওক্সাকুইয়োকে রিহাইড্রেট করে এবং টমেটোর সাথে মিশ্রিত করে তৈরি করা হয়। টিনজাত চিপোটল চিলাকুইলস টমেটো সসেও সত্যিই ভাল।) যদি উপলব্ধ থাকে, আগুনে ভাজা টমেটোর একটি ২৮-আউন্স ক্যান দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন (এর ৩/৪, যদি গুজিলো সংস্করণ তৈরি করা হয়)। শুকনো চিল থেকে তৈরি সসগুলিও চিলাকুইলসের জন্য উপযুক্ত, তাই আমি এই মাস্টার রেসিপিতে একটি সুস্বাদু গুজিলো-টমেটো সসের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। ৪ জনের জন্য চিলাকুইলস তৈরি করতে আপনার প্রায় ৪ ½ কাপ ব্রোথি সস প্রয়োজন। যদিও এই ধরনের নৈমিত্তিক, ফ্রি-হুইলিং ডিশের জন্য এই ধরনের বিশদ রেসিপি দেওয়া অদ্ভুত মনে হতে পারে, এটি সস এবং ক্রিসপি টর্টিলাসের সঠিক অনুপাত পাওয়ার একমাত্র উপায়। আপনি একবার এটি তৈরি করার পরে, আপনি অনুপাতটি বুঝতে পারবেন এবং আপনার নিজের স্বাক্ষর সংস্করণ তৈরি করতে পারবেন।

### উপাদান
#### টমেটো বা টমেটো সসের জন্য:

- ২ পাউন্ড পাকা টমেটো (বরই টমেটো সেরা) বা ২ পাউন্ড টমেটোস, খোসা ছাড়ানো ও ধুয়ে নেওয়া

- ৩ টি সেরানো বা ২ টি জলপেনো, কান্ড বাদ দেওয়া

- ১ মাঝারি (৬-আউন্স) সাদা পেঁয়াজ, ½-ইঞ্চি টুকরো করে কাটা

- ১ ½ টেবিল চামচ উদ্ভিজ্জ তেল, এছাড়াও টর্টিলা ব্রাশ বা স্প্রে করার জন্য একটু অতিরিক্ত

- ২ ½ কাপ মুরগির ঝোল, প্রয়োজনে একটু অতিরিক্ত

- লবণ

- ইপাজোটের কয়েকটা বড় ডাঁটা, গার্নিশের জন্য আরও, অথবা এক মুঠো সিলান্ট্রো পাতা, গার্নিশের জন্য আরও

#### রেড চিলি সসের জন্য:

- ২ আউন্স (প্রায় ৮) শুকনো গুয়াজিলো চিলিস, কান্ড বাদ দেওয়া, বীজ ছাড়ানো, ও চ্যাপ্টা টুকরো করা

- ১ ½ পাউন্ড পাকা টমেটো

- ৬ টি রসুনের কোয়া, খোসা ছাড়ানো

- ১ ½ টেবিল চামচ উদ্ভিজ্জ তেল, এছাড়াও টর্টিলা ব্রাশ বা স্প্রে করার জন্য একটু অতিরিক্ত

- ২ ½ কাপ মুরগির ঝোল, প্রয়োজনে একটু অতিরিক্ত

- ইপাজোটের কয়েকটা বড় ডাঁটা, গার্নিশের জন্য আরও, অথবা এক মুঠো সিলান্ট্রো পাতা, গার্নিশের জন্য আরও

#### টর্টিলার জন্য:

- ১২ (প্রায় ১০ আউন্স) ঠান্ডা বা বাসি 6-ইঞ্চি দোকানে কেনা বা ঘরে তৈরি টর্টিলা, ওয়েজ বা ½-ইঞ্চি স্ট্রিপে কাটা

- ১ ইঞ্চি গভীরে তেল বা টর্টিলা এবং তেল ৮ আউন্স (প্রায় ৮ কাপ আলগাভাবে প্যাক করা) দোকান থেকে কেনা টর্টিলা চিপস (যদি আপনার স্থানীয় মেক্সিকান মুদিখানা চিলাকুইলসের জন্য নির্দিষ্ট চিপ বহন করে, তবে সেগুলি বেছে নিন)

#### ঐচ্ছিক প্রোটিনের জন্য:

- ১ ½ থেকে ২ কাপ (প্রায় ৮ থেকে ১০ আউন্স) মোটা টুকরো করা রান্না করা মুরগি, শুয়োরের মাংস বা গরুর মাংস অথবা ৪ টি রৌদ্রোজ্জ্বল ভাজা ডিম

#### গার্নিশের জন্য:

- প্রায় ½ কাপ মেক্সিকান ক্রিম, ক্রিম ফ্রাইচে বা পাতলা টক ক্রিম বা গ্রীক-স্টাইলের দই

- এক মুঠো পাতলা করে কাটা সাদা পেঁয়াজ

- প্রায় ¼ কাপ গ্রেট করা মেক্সিকান কোয়েসো অ্যানেজো বা অন্যান্য গার্নিশিং পনির যেমন পারমেসান বা রোমানো

### নির্দেশাবলী
#### টমেটো বা টমেটো সস তৈরি:

১. টমেটো বা টমেটোস, চিলিস এবং পেঁয়াজ একটি রিমড বেকিং শীটে ছড়িয়ে দিন এবং একটি প্রিহিটেড ব্রয়লারের নীচে একপাশে কালো এবং নরম হওয়া পর্যন্ত ভাজুন (প্রায় ৬ মিনিট), তারপর সবকিছু উল্টিয়ে অন্য দিকে ভাজুন। সেরানো চিলস ব্যবহার করলে, টমেটো প্রস্তুত হওয়ার অনেক আগেই সেগুলি কালো এবং নরম হয়ে যেতে পারে।

২. ঠাণ্ডা করুন এবং, যদি টমেটো ব্যবহার করেন, তাহলে তাদের কালো হয়ে যাওয়া চামড়া তুলে ফেলুন।

৩. একটি ব্লেন্ডার বা ফুড প্রসেসরে সবকিছু (যেকোনো জুস সহ) স্ক্র্যাপ করুন এবং প্রায় মসৃণ হওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়া করুন (সামান্য টেক্সচার সসের সুন্দর ঘরে তৈরি গুণমান রক্ষা করে)।

৪. একটি বড় (১২-ইঞ্চি) ভারী স্কিললেটে মাঝারি-উচ্চ তাপে তেল গরম করুন। এক ফোঁটা পিউরি তীক্ষ্ণভাবে সিজল করার জন্য যথেষ্ট গরম হয়ে গেলে, এটি একবারে যোগ করুন এবং প্রায় ক্রমাগত নাড়তে থাকুন, গাঢ় এবং যথেষ্ট ঘন হওয়া পর্যন্ত, প্রায় ৮ মিনিট।

৫. মুরগির ঝোল নাড়ুন, তারপর কয়েক মিনিটের জন্য সিদ্ধ করুন। লবণ দিয়ে স্বাদ নিন এবং সিজন করুন, সাধারণত প্রায় ১ ½ চা চামচ, এবং এপাজোট বা ধনেপাতা দিয়ে নাড়ুন। তাপ থেকে সরান।

#### লাল চিলি সস তৈরি:

১. মাঝারি তাপে একটি বড় (১২-ইঞ্চি) ভারী স্কিললেট গরম করুন। গরম হলে, চিলির টুকরোগুলোকে কয়েকবার টোস্ট করুন, একটি ধাতব স্প্যাটুলা দিয়ে গরম পৃষ্ঠের বিরুদ্ধে চাপুন যতক্ষণ না তারা তাদের সুগন্ধ প্রকাশ করে এবং রঙ সামান্য পরিবর্তন করে, তারপরে উল্টিয়ে অন্য দিকে টোস্ট করুন। একটি পাত্রে টোস্ট করা চিলির টুকরোগুলি সংগ্রহ করুন, গরম কলের জল দিয়ে ঢেকে দিন, একটি প্লেট দিয়ে পরিবেশন করুন।

Read More

বুধবার, ২২ মে, ২০২৪

বাড়িতেই মিষ্টি বানান

মে ২২, ২০২৪ 0

নিজের মতো করে এবার মিষ্টি বানান বাড়িতেই

বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য অতিথি আপ্যায়নে বা মাঝে মাঝে বাড়িতে মজা করে খাওয়ার জন্য মিষ্টি বানানো যায়। মিষ্টি বানানোর উপকরণ সংগ্রহ করা কিন্তু কঠিন কাজ নয়। আপনার হাতের কাছেই পাওয়া যায় এমন বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে কীভাবে মিষ্টি বানানো যায়, তার রেসিপি দিয়েছেন জেবুন্নেসা বেগম।

স্পঞ্জ মিষ্টি


উপকরণ

**ছানা তৈরির জন্য:**

- দুধ: ১ লিটার

- ভিনেগার: ৩ টেবিল চামচ

- এলাচ গুঁড়া: সিকি চা চামচ

- ময়দা: ১ টেবিল চামচ


**শিরা তৈরির জন্য:**

- পানি: ৫ কাপ

- চিনি: ১ কাপ


প্রণালি

**ছানা তৈরি:**

   - প্রথমে ১ লিটার দুধ জ্বাল দিন। 

   - দুধ ফুটে উঠলে অল্প অল্প করে ভিনেগার যোগ করুন।

   - ছানা জমে গেলে পানি আলাদা হয়ে যাবে। চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

   - ছানাকে সামান্য পানি দিয়ে ধুয়ে নিন যাতে ভিনেগারের টক ভাব না থাকে।

   - একটি পাতলা সুতি কাপড়ে ছানা এক ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখুন যাতে সমস্ত পানি ঝরে যায়।


**মিষ্টি তৈরি:**

   - ছানার সাথে এলাচ গুঁড়া ও ময়দা মিশিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন।

   - গোল গোল বল তৈরি করুন।

   - একটি পাত্রে চিনি ও পানি মিশিয়ে বলক আনুন।

   - পানি বলক আসার পর ছানার বলগুলো দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন।

   - মিষ্টি ফুলে বড় হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিন।


এইভাবে সহজেই আপনি ঘরে বসে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু স্পঞ্জ মিষ্টি।



Read More

মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪

পটলের দোরমা রেসিপি | Potoler Dorma Recipe

মে ২১, ২০২৪ 0

পটলের দোরমা রেসিপি | Potoler Dorma Recipe


ভোজনপ্রিয় মানুষদের কাছে দুপুরের খাবারে যদি ভাতের পাশে পটলের দোরমা থাকে, তাহলে তা যেন অমৃতের স্বাদ দেয়।

পটল জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর একটি সবজি, বিশেষ করে গরমের সময়। তাই বিভিন্ন ধরনের পটলের রেসিপি আমরা খেয়ে থাকি।

তবে পটলের দোরমা (Potoler Dorma) বেশ জনপ্রিয় একটি পদ। আর পটলের সাথে যদি চিংড়ি যোগ হয়, তাহলে তো কথাই নেই। এই চিংড়ি পটলের দোরমা রেসিপি দিয়ে খাওয়া হবে আরো মজাদার।

অনুষ্ঠান বাড়ির মতো করে এই রেসিপিটি আপনি বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন। তাহলে দেখে নিন এই স্পেশাল চিংড়ি পটলের দোরমা রেসিপি।




উপকরণ:

  • ·       টাটকা পটল ৫০০ গ্রাম
  • ·       চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম
  • ·       পেঁয়াজ কুচি ১/২ কাপ
  • ·       পেঁয়াজ বাটা ৪ টেবিল চামচ
  • ·       কাজুবাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ
  • ·       আদা বাটা ২ টেবিল চামচ
  • ·       রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
  • ·       জিরে গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ
  • ·       ধনে গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
  • ·       লঙ্কা গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
  • ·       কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ
  • ·       গরম মসলা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ
  • ·       পোস্ত ২ টেবিল চামচ
  • ·       নারকেলের দুধ ২ কাপ
  • ·       নারকেল কোরা ১/২ কাপ
  • ·       কাঁচা লঙ্কা ৭ টি
  • ·       হলুদ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
  • ·       নুন স্বাদ অনুযায়ী
  • ·       তেল ১ কাপ
  • ·       গোটা গরম মসলা (লবঙ্গ ৩ টি, এলাচ ৩ টি, দারুচিনি ১ ইঞ্চি)

পদ্ধতি:

পটল প্রস্তুতি:

পটলগুলোর গা আচড়ে পরিষ্কার করে নিন।

পটলের একদিকের মুখ বেশ খানিকটা কেটে নিন, আর অন্যদিকটা অল্প করে কেটে নিন।

পটলের ভেতরের শাঁস চামচ দিয়ে বের করে নিন।

পুর তৈরি:

চিংড়ি মাছ, নারকেল কোরা, ৪ টি কাঁচা লঙ্কা এবং পোস্ত একসাথে বেটে নিন।

কড়াইতে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি যোগ করুন।

পেঁয়াজ হালকা ভাজা হলে ১ টেবিল চামচ আদা বাটা এবং ১ টেবিল চামচ জিরে গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে ভাজুন।

এই মিশ্রণে চিংড়ি মাছ বাটা দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন এবং নুন ও হলুদ যোগ করুন।

পুরটি মাখা মাখা হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।

পটল ভাজা:

কড়াইতে ৩ টেবিল চামচ তেল গরম করে পটলগুলো হালকা করে ভেজে নিন।

পটলগুলোর মধ্যে প্রয়োজন মতো পুর ভর্তি করুন।

গ্রেভি তৈরি:

কড়াইতে ৪ টেবিল চামচ তেল গরম করে গোটা গরম মসলা ফোড়ন দিন।

গন্ধ ছাড়লে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা ও আদা বাটা যোগ করে ভাজুন।

লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ও হলুদ গুঁড়ো যোগ করে ভালো করে মেশান।

কাজু বাটা ও ১/২ কাপ নারকেলের দুধ যোগ করুন এবং মিশ্রণটি কষিয়ে নিন।

তেল ছাড়তে শুরু করলে নুন ও বাকি নারকেলের দুধ যোগ করুন।

মিশ্রণটি ফুটতে শুরু করলে চেরা কাঁচা লঙ্কা ও পুর ভর্তি পটলগুলো দিয়ে দিন।

ঢাকা দিয়ে ৫ মিনিট রান্না করুন।

পরিবেশন:

পটল সেদ্ধ হয়ে গেলে প্রয়োজন মতো গ্রেভি রেখে গরম মসলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।

এভাবে আপনার স্পেশাল চিংড়ি পটলের দোরমা তৈরি হয়ে যাবে, যা দুপুরের ভাতের সাথে একেবারে জমে যাবে।


Read More

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪

নাটোরের কাঁচাগোল্লা । Natorer Kaca Golla

মে ১৬, ২০২৪ 0

নাটোরের কাঁচাগোল্লা

নাটোরের কাঁচাগোল্লা নাটোরের একটি প্রসিদ্ধ খাবার, যা বিখ্যাত বনলতা সেনের মতো ঐতিহ্যবাহী। এটি রসিক বাঙ্গালীদের মধুর রুচির অবহেলা নয়, এটি একটি আন্তর্জাতিক খাবার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এই মিষ্টান্নটির নাম হল কাঁচাগোল্লা, তবে এটি দেখতে কাঁচা বা গোলাকার নয়। এটি দুধের ছানা ও চিনি দিয়ে তৈরি করা হয়। এই মিষ্টান্নের স্বাদ এবং গন্ধ অতুলনীয়। এর ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরের পুরানো। মনে করা হয় ১৭৫৭ সালের পর থেকে কাঁচাগোল্লা জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৭৬০ সালে রাণী ভবানীর রাজত্বকালে এটি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় জমিদারদের মিষ্টি মুখ করার জন্য নাটোরের কাঁচাগোল্লা ব্যবহৃত হত। আবার সুদূর বিদেশের রাজপরিবার এবং ভারতবর্ষেও এটি পরিচিত। রাজশাহী গেজেট এবং কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকায় নাটোরের কাঁচাগোল্লা নিয়ে বিভিন্ন ফিচার প্রকাশিত হয়েছিল।



আরও একটি গল্প জনপ্রিয়, রাণী ভবনীর রাজত্বকালে রানীকে নাটোরের লালবাজারের মধুসূদন পাল নামের এক মিষ্টি বিক্রেতা নিয়মিত মিষ্টি সরবরাহ করতেন। একবার দোকানে মিষ্টির কারিগর না আসায় আগের রাতে তৈরি করা দেড় থেকে দুই মন ছানা নিয়ে মধুসূদন চিন্তায় পড়ে গেলেন। তার কষ্টের জন্য তিনি ছানাগুলো রক্ষার জন্য কাঁচা ছানার মধ্যে চিনির রস ঢেলে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে রাখলেন। পরবর্তীতে এই চিনি মিশানো ছানা মুখে দিয়ে চমৎকার স্বাদের উপলব্ধি করেন। রানীও অভিভূত হয়ে ধন্য ধন্য করতে লাগলেন। এরপর নতুন এই মিষ্টির নাম কাঁচাগোল্লা হয়ে উঠল।

নাটোরের কাঁচাগোল্লা প্রায় সবত্র পাওয়া যায়, তবে উল্লেখযোগ্য দোকান থেকে কিনা ভালো। নাটোরের শহরের কালীবাড়ি নামক আবাসিক এলাকার ভিতরের মন্দিরের সামনের জরাজীর্ণ দোকানটি নাটোরের সেরা কাঁচাগোল্লা দোকান। এছাড়া নীচা বাজারের কুণ্ডু মিষ্টান্ন ভান্ডার, অনুকূল দধি ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, ষ্টেশন বাজারের নয়ন ও সকাল সন্ধ্যা, বনলতা মিষ্টান্ন ভান্ডার, দাবপট্টি মিষ্টান্ন ভান্ডার এবং ষ্টেশন বাজার রেলগেটের জগন্নাথ মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকেও ভালমানের কাঁচাগোল্লা কিনতে পারবেন। বর্তমানে কাঁচাগোল্লা বিক্রিতে মৌচাক মিষ্টান্ন ভাণ্ডার অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পূর্বে প্রতি সেরের কাঁচাগোল্লার দাম ছিল ৩ আনা, তবে বর্তমানে এক কেজি কাঁচাগোল্লার দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

ঢাকা থেকে নাটোরে যাওয়ার জন্য সড়ক এবং রেলপথ উভয়ই সম্ভব। ঢাকার কল্যাণপুর ও গাবতলী থেকে হানিফ, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, দেশ ট্রাভেলস, গ্রামীণ, তুহিন-এলিট পরিবহণের বাস টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু-সিরাজগঞ্জ রুটে নাটোরে যাওয়া যায়। বাসের ভাড়া খরচ প্রায় ৫৯০ থেকে ১৩০০ টাকা। রেলপথে ঢাকার কমলাপুর থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস, বুড়িমারী এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, চিলাহাটি এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নাটোরে যাওয়া যায়। রেলপথে আসনের ভাড়া প্রায় ৩৭৫ থেকে ১২৮৮ টাকা। নাটোর সদর থেকে বাস বা অটোরিক্সা নিয়ে লালবাজার বা ষ্টেশন বাজারের ভিতরের দোকান থেকে নাটোরের আসল কাঁচাগোল্লা স্বাদ নিতে পারবেন।

নাটোরে থাকার জন্য ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। মাদ্রাসা মোড় ও রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকায় হোটেল ভিআইপি, হোটেল মিল্লাত, হোটেল প্রিন্স, হোটেল রাজ, হোটেল রুখসানা ও নাটোর বোর্ডিং প্রভৃতি আবাসিক হোটেল রয়েছে।

নাটোরে খাওয়ার স্থান হিসেবে ওয়ান সেভেন হোটেল, হোটেল ফাইভ স্টার, মোল্লা হোটেল এবং ক্যাফে হট ও চিলির মতো রেস্তোরাঁয় পছন্দের খাবার খেতে পারবেন।

নাটোর জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান হিসেবে চলনবিল জাদুঘর, চলন বিল, রানী ভবানীর রাজবাড়ী, শহীদ সাগর ও উত্তরা গনভবন উল্লেখযোগ্য।




Read More

রবিবার, ১২ মে, ২০২৪

বগুড়ার দই, তৈরির গোপন রেসিপি । Bogurar Dohi

মে ১২, ২০২৪ 0

বগুড়ার  দই, তৈরির গোপন রেসিপি

স্বাদে অসাধারণ, মিষ্টি, নরম, মুখে দিলে যেন গলে যায়, এমনি অনন্য বগুড়ার দই। একবার যে বগুড়ার দই খেয়েছেন, সে তার স্বাদ আর কখনোই ভুলতে পারবেন না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রসিদ্ধ সব খাবারের মতো বগুড়ার দই যে কোনো প্রান্তে এক নামে যে কেউ চেনেন। সারাদেশে এর সুনাম আজ অবধি রয়েছে।

বগুড়ার দইয়ের ইতিহাস প্রায় দুইশত বছরের পুরোনো হলেও স্বর্ণযুগ ছিল স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে। সেসময় এর প্রস্তুত প্রণালী ছিল অতি গোপনীয়। জানা যায়, ঘোষেরা যখন দই তৈরি করত তখন এর গোপনীয়তা বজায় রাখতো। ফলে বাইরের কেউ দই তৈরি করতে পারত না। পরবর্তিতে সেটিকে আর তারা ধরে রাখতে পারেনি। বগুড়ার দই এখন ঢাকায় পাওয়া যায়।



আপনি চাইলে ঘরেও তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু বগুড়ার দই। এর জন্য জানা চাই সঠিক রেসিপিটি। যা আপনাকে বগুড়ার দইয়ের আসল স্বাদ পেতে সাহায্য করবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক রেসিপিটি-

উপকরণ:

  • ·       এক কেজি দইয়ের জন্য গরুর দুধ ২ কেজি
  • ·       চিনি ২৫০ গ্রাম
  • ·       সামান্য পরিমাণ
  • ·       পুরোনো দই
  • ·       মাটির একটি হাঁড়ি বা সরা

প্রণালী: একটি পরিষ্কার কড়াই বা পাতিলে দুধ ছেঁকে ঢেলে দিন। কড়াই চুলাতে বসান। এবার জ্বাল দিতে থাকুন। চুলায় আগুন যত ধীরে জ্বলবে দই তত সুস্বাদু হবে। এবার সিদ্ধান্ত নিন, সাদা নাকি ঘিয়ে রঙের দই তৈরি করবেন। সাদা রঙের দই তৈরি করতে চাইলে ঘণ্টা দুয়েক পর কড়াই নামিয়ে ফেলুন। আর ঘিয়ে রঙের দইয়ের জন্য তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা চুলাতে কড়াই রাখুন।

দুধ ফুটিয়ে দুই কেজি থেকে এক কেজিতে এলে তাতে চিনি ঢেলে দিন। চিনি না গলা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। দুধ উথলে উঠলে কড়াই নামিয়ে ফেলুন। ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মাটির হাঁড়ি বা সরা একটু গরম করুন। এবার সরায় ঠাণ্ডা দুধ ঢেলে নিন। পুরোনো এক চিমটি দই দুধের সঙ্গে ভালোভাবে মেশান। এবার ঝাঁপি দিয়ে সরা ঢেকে দিন। ছাইচাপা আগুনে সরা বসিয়ে চার ঘণ্টা রেখে দিন। জমাট না বাঁধলে আরো দেড়-দুই ঘণ্টা সময় নিন। জমাট বাঁধার পর ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।




Read More

বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪

যেভাবে বাড়িতে সহজেই বানাবেন কাচাঁ আমের আচার । কাচাঁ আমের আচার । Kaca Amer achar recipe

মে ০৯, ২০২৪ 0

যেভাবে বাড়িতে সহজেই বানাবেন কাচাঁ আমের আচার । কাচাঁ আমের আচার । Kaca Amer achar recipe
এখন আমের সময় বাড়িতে সহজেই বানাতে পারেন এই ফলের আচার।

 

উপকরণ

·       কাঁচা আম টা

·       চিনি কাপ

·       ভিনেগার টেবিল চামচ

·       শুকনা মরিচ টা

·       আদাকুচি চাচামচ।



প্রণালি
কাঁচা আমের ওপরের সবুজ চামড়া ও আঁটি ফেলে লম্বা করে কেটে নিতে হবে। চিনি চুলায় দিন। চিনি গলে গেলে আমের টুকরা, শুকনা মরিচ ও আদাকুচি দিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে রান্না করুন। চিনি ঘন হয়ে এলে আর কাঁচা আম সেদ্ধ হয়ে নরম হলে ভিনেগার দিন। ১ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে নেবেন। ঠান্ডা হলে বায়ুরোধক বয়ামে সংরক্ষণ করুন। সব চেয়ে ভালো হয় কড়া রোদে একদিন শুকিয়ে ঠান্ডা করে বয়মে সংরক্ষণ করুন।



Read More
Your Ad Spot